শাহজাহান কামাল ও উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা
অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : একই সময়ে একই হাসপাতালে প্রবীণ দুই সংসদ সদস্যের (এমপি) মৃত্যু হলো। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৩টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তারা।
মারা যাওয়া দুজন হলেন– লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান কামাল (৮২) এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা (৮৪)।
লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন জানান, শনিবার ভোর ৩টা ১৯ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এমপি শাহজাহান কামাল।
শাহজাহান কামাল লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) থেকে ১৯৭৩ সাল, ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে, এমপি আব্দুস সাত্তার ভূঞার একমাত্র ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘ভোর ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি কিডনিজনিত রোগে দীর্ঘদিন যাবৎ ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এক সপ্তাহ আগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন চার দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে তিনি নিষ্ক্রিয় ছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন।
আব্দুল সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ ভূঞা ও রহিমা খাতুনের পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির দীর্ঘদিন সভাপতি পদে ছিলেন।
Leave a Reply